বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত-১ম এর বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন, কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার আবুল কালামের ছেলে আবু তাহের (৩২)। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বাদশাহঘোনা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে আব্দুল মালেক ও ঘোনারপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার শাহ আলম সওদাগরের ছেলে মো. খালেদ খোকন। মামলার শুরু থেকে পালাতক রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. খালেদ খোকন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোজাফফর আহমদ হেলালী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আসামি আবু তাহেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফাঁসি এবং ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অপর দুই আসামিকে দন্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় বিজ্ঞ আদালত। সাক্ষ্য প্রমাণে অপর চারজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৩ জুলাই কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ। এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের আরেক কনস্টেবল রাজিব চাকমা বাদী হয়ে একইদিন আবু তাহেরসহ ৭ জনকে আসামি করে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৪৬ (জিআর ৬৮২/২০১৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী একই বছর ২৪ নভেম্বর অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর চার্জ গঠন করে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিক কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে শহরের ঘোনারপাড়া থেকে আবু তাহের ও আবদুল মালেককে আটক করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী নুরুল মোস্তফা মানিক বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।’
প্রসঙ্গত, পারভেজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় কনস্টেবল রাজীব চাকমা বাদী হয়ে ৭ জনের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নিহত পারভেজ হোসেন কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার বাসিন্দা।