অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তর করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে গত ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবন পরিদর্শনকালে তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। জনগণের বিজয়কে ধারণ করে রাখার উদ্দেশ্যেই গণভবনের বর্তমান ভগ্নাবশেষ অক্ষত রেখেই জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে, যা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী এবং খুনি রাষ্ট্রনায়কের কী পরিণতি হয়, পৃথিবীর বুকে তার একটা নিদর্শন রাখার জন্য এই ভবনকে জাদুঘর করা হচ্ছে। আর জনগণই যে রাষ্ট্রক্ষমতার আসল মালিক, সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য একটি কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যারা জাদুঘর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ত্যথ উপদেষ্টা জানান, এ জাদুঘরে গত ১৬ বছরের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের ঘটনা, শহিদদের তালিকা, স্মৃতি এসব কিছুর একটি সামগ্রিক উপস্থাপনা থাকবে। পাশাপাশি কিছু ডিজিটাল উপস্থাপনা থাকবে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি এবং জনগণের ওপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচার, গুম, খুনের স্মৃতি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে। পরবর্তী সময়ে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্থাপত্য শিল্পী এবং জাদুঘর বিশেষজ্ঞ আর্কিটেক্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।