রামু প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি এসএম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন- রামু প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা কমিটির অন্যতম সদস্য ছড়াকার দর্পন বড়ুয়া।
রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি ফোরকান আহমদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রামু উপজেলা শাখার আমীর ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম মুহাম্মদ হারুন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির রামু উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট লেখক মাওলানা আ. ম. নুরুল কবির হিলালী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ছানা উল্লাহ সেলিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রামু শাখার মঈনুর রশিদ ও মোহাম্মদ নোমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাশেদুল ইসলাম বলেছেন- দেশ ও জনকল্যাণে স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠু সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। স্বৈরাচারি মনোভাব, দমন-পীড়নের কারণে অনেকদিন বস্তুনিষ্ঠু সাংবাদিকতা স্থবির ছিলো। এখন যেন সে পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। তা না হলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। এর ব্যতিক্রম হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের সফলতা আমরা কেউ ভোগ করতে পারবো না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রামু প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এম আবদুল্লাহ আল মামুন ও খালেদ হোসেন টাপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ ভূট্টো, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক ওবাইদুল হক নোমান, দপ্তর সম্পাদক হাসান তারেক মুকিম, সহ-দপ্তর সম্পাদক শওকত ইসলাম, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, সহ-প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম সাগর, কার্যকরী সদস্য জহির উদ্দিন খন্দকার, মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক, সদস্য হামিদুল হক, আহমদ ছৈয়দ ফরমান, কামাল হোসেন, এমএইচ আরমান, মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান, মো. আবদুল্লাহ, মিজানুল হক প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে প্রাণ হারানো বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং এ আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা কামনা করেন। এছাড়াও সভায় ১৯৮৮ সালে রামু প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠায় যারা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন সকলের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বক্তারা আরও বলেন, রামু উপজেলার উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরাসহ জনকল্যাণে পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকতায় রামু প্রেস ক্লাবের সদস্যরা অগ্রণি ভূমিকা পালন করছে। সাংবাদিকদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে বিকশিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে রামু প্রেস ক্লাবের গৌরবের ৩৬ বছর উদযাপন করেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন, রামু প্রেস ক্লাবের প্রচার সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।