প্রবল গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি হবে বৃহস্পতিবার। ওইদিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে সারাদেশে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় তার সঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস আলম বলেন, রাজধানীতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে নীলক্ষেত, সাইন্সল্যাব, কলাবাগান হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ যাবে। এরপর বিজয় সরণি, ফার্মগেট হয়ে কাওরান বাজার, শাহবাগ হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হবে এ কর্মসূচি।
এছাড়া এদিন সারাদেশের প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন, মহল্লা সব জায়গায় শহীদদের ছবি, বিভিন্ন স্লোগানসহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে শহীদি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সারজিস বলেন, আপনারা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান, সংবিধান বা দেশের উন্নয়নে কীভাবে কাজ করা যায় সেগুলো ব্যানারে লিখে নিয়ে আসবেন।
আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সাথে কথা বলব, তারা কি চায় সেটা জানব, আমরাও কিছু পরামর্শ দেব। এরপর মানুষ যা চায় আমরা তা বাস্তবায়ন করব।
বাকের বলেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সারাদেশে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় এখনো এসব সিন্ডিকেট চলছে। অনেক জায়গায় শুধু মাথা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সিস্টেম একই রয়ে গেছে। আমরা সব ধরনের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছি।
কাউকে আইন নিজের হাতে না তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশে চায় সবাইকে সেই বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে হবে। তাই আপনারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কারও অপরাধ খুঁজে পেলে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। আমরা একটি আইনের শাসনের দেশ চাই। যারাই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।