শুক্রবার (৪ অক্টোবর) গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংগঠনের বর্তমান সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন ডুসাটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন ইমরুল আল হাসান, সেলিম উল্লাহ। পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন সদ্য সাবেক সভাপতি মোর্তজা হোসাইন শাফি এবং সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ।
সাবেক সভাপতি মোর্তজা হোসাইন শাফি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী নবগঠিত এ কমিটি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাবে।’
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, আমাদের এই অগ্রযাত্রা নতুন নেতৃত্ব আরো বহুদূরে নিয়ে যাবে।
সংগঠনের নব নির্বাচিত সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার ওপর আস্থা রেখে সংগঠনের সদস্যরা যে দায়িত্ব অর্পন করেছেন তা আমি শতভাগ নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে পালন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ঐশ্বর্যমন্ডিত হওয়া সত্ত্বেও আমার উখিয়া- টেকনাফ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রান্তিক, নেতিয়ে পড়া এবং বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত একটি জনপদ। সাম্প্রতিক সময়ে এই জনপদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ‘অপহরণ ও মুক্তিপন আদায়’। ডুসাটের উদ্যোগ ও প্রশাসনের সহায়তায় আমি এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করতে চাই।
আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ডুসাটকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ডুসাট সদস্যদের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আমাকে যোগ্য মনে করে নির্বাচিত করার জন্যে।’
সংগঠনের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, রিয়াজ উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এবং মাদকের করালগ্রাসে পরে উখিয়া-টেকনাফের কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী যেনো উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটি নিয়ে কাজ করবে ডুসাট।
প্রতিটি শিক্ষার্থী যেনো মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ দেখে তার জন্য ডুসাট অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উখিয়া-টেকনাফ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।