জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় বাঁশখালী উপজেলার মো. ইসমাঈল হোছাইনের মালিকানাধীন আল্লাহর দয়া নামের মাছ ধরার ফিসিং ট্রলারটি মাঝি-মাল্লাসহ ২১ জনকে নিয়ে সাগরে যায়। মাছ ধরার মুহূর্তে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফিসিং ট্রলারে জলদস্যুরা আক্রমণ করে। এক পার্যায়ে মাঝি মো. মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতাবস্থায় তাঁর সাথে জয়নাল নামের এক জেলেকে জলদস্যুদের ট্রলারে তুলে দিয়ে ফিসিং ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে কুতুবদিয়ার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের ১৭ জন ও দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের ১ জন এবং নোয়াখালীর একজন বলে জানা গেছে।
ফিসিং ট্রলার মালিক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তার ফিসিং ট্রলারটি বাঁশখালী উপজেলা থেকে ২১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে যায়। হঠাৎ জলদস্যুদের আক্রমণে মাঝি মোকাররম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে, জলদস্যুরা তাদের ট্রলারে করে একজন জেলেকে দিয়ে আহত মো. মোকাররম হোসেনকে উপকূলে পৌছে দেন। ১৯ জেলে ও ফিসিং ট্রলারের কোন হদিস এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানান।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মরদেহ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে জেলেরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ সুরতহাল সংগ্রহ করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, এক জেলের নিহতের খবর পেয়েছেন। কিন্তু ১৯ জন জেলে অপহরণের বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান।
এদিকে, ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারে কাছে মো. মোকাররম হোসেনের মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় উত্তর ধূরুং আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়া জামে মসজিদ মাঠে তাঁহার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, বাঁশখালী উপজেলার ইসমাইল হোসেনের আল্লাহর দয়া নামের ফিসিং ট্রলারে জলদস্যুদের কবলে পড়া তার এলাকার ১৯ জেলের কোন খবর পাচ্ছে না। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।